digital-marketing-trends-2018
digital-marketing-trends-2018
২০১৭ প্রায় শেষ বললেই চলে। হয়তো বিশ্বাস করার মতো নয়, তবুও সত্য হলো অনেকেই এখন থেকে পরবর্তী বছরের অর্থাৎ ২০১৮ এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করছে, করতে চাইছে অথবা করাতে চাচ্ছে তাদেরকেও নতুনভাবে ভাবতে হবে। যেমন ২০১৮ সালের ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমি এখনই ব্লগ লিখছি তেমনি একজন মার্কেটার হিসেবে আপনারও প্রথম কাজ ২০১৮ নিয়ে কিছু ভাবা। মানুষ সব সময় নতুন পছন্দ করে। Apple Inc. এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস -এ সম্পর্কে দারুণ একটি উক্তি করেছিলেন,
You can't just ask customers what they want and then try to give that to them. By the time you get it built, they'll want something new.
তাই, সবসময় নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকুন।  আপনি নিজেও হয়তো জানেন না, আপনার এই নতুনত্বের খোঁজ আপনাকে দিতে পারে ভিন্ন মাত্রা। বিশেষ করে এমন কিছু যদি খুজেঁ পান যা সত্যিই নতুন তখন আপনাকে আর তা প্রচার করতে হবে না বা তথাকথিত ভাবে keyword Research, SEO, ইত্যাদি নিয়ে কিছুই ভাবতে হবে না। সব সাধারণ মানুষ করে দিবে। যাইহোক এখন চলুন দেখা যাক নতুন বছরকে সামনে রেখে আপনি কি করতে পারেন??
১. এখন আর আগের মতো ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং নিয়ে বেশি ভাবা ঠিক নয়। তাই বলে এমন নয় যে, একবারেই ভাববেন না। আমি বোঝাতে চাইছি, নতুন কিছুর খোঁজ করুন। আপনার কন্টেন্ট অবশ্যই আপডেট বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করুন।

২. বর্তমানে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এবং অনলাইন উপস্থিতিকে মানুষ অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন যার বিজনেস সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট সেলিং এর উপর এবং অনলাইনে বিক্রয় করার মতো উপযোগিতাও যার নেই, সে ভাবতে পারে "আমি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবো?" উত্তর- শুধু প্রোডাক্ট সেলিং করার জন্য মার্কেটিং না, আপনার সুনাম বা ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়বে, ওয়ার্ড অফ মাউথ কাজে লাগাতে পারবেন, সর্বোপরি সবাই জানতে পারবে আপনি কি করছেন বা আপনি কি কি সেল করবেন।

৩. সকলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। এমন নয় যে, শুধু প্রোডাক্ট বিক্রয় করবেন বা যারা প্রোডাক্ট কিনতে চায় শুধু তাদের সাথে সম্পর্ক বিনিময় করবেন। সকলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন এবং একজন বিক্রেতা হিসেবে সবাই আপনার ক্রেতা, তাই সকলকে সম্মান করুন। অর্থাৎ অপনার ফেসবুক পেইজ কিংবা টুইটার একাউন্টের সাথে যুক্ত তার গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাটাসে ভালো প্রতিক্রিয়া জানান এবং পারলে উপযুক্ত মন্তব্য করুন।

৪. সকলকে যুক্ত করতে চেষ্টা করুন। মানুষ সব সময় কোনো কিছুতে যুক্ত থাকতে চায়। যেমন, ধরুন আপনার একটি ই-কমার্স সাইট আছে। ধরুন, আমি কিছু কিনতে চাই না তো আমি কেন আপনার সাইটে যাব। একটি প্রচলিত সহজ সমাধান হচ্ছে দারুণ অফার, মেগা অফার, মূল্য ছাড় ইত্যাদি। কিন্তু চেষ্টা করুন বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত ব্লগ পোস্ট করতে, যা সাধারণ মানুষ কৌতুহল নিয়ে পড়বে। এছাড়া এখন মানুষ সোশ্যাল স্ট্যাস্টাস বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাসাস নিয়ে বেয়ি চিন্তিত থাকে। তাই সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কুইজ বা প্রতিযোগীতার অায়োজন করুন এবং পুরস্কার হিসেবে খুব মূল্যবান কিছু মানুষ আশা করে না। মানুষ প্রাথমিকভাবে শুধু স্বীকৃতিটুকু আশা করে। তাই তাকে আপনি একটি বেজ বা সার্টিফিকেট দিন, যথেষ্ট।

৪. মানুষকে আকর্ষণীয় ডিজাইন অর্থাৎ ভিজুয়্যাল কিছুর মাধ্যমে প্রভাবিত করুন। গ্রাফ, ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদি মানুষ বেশি পছন্দ করে। তাই আপনার বিভিন্ন তথ্য সকলের মাঝে চিত্রের সহায্যে উপস্থাপন করুন।

৫. খুবই প্রচলিত একটি রীতি, তা হলো ৮০/২০ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। মানে হয়তো সবাই জানেন তবুও বলার জন্য বলছি। আপনার গ্রাহক, অডিয়েন্স বা টার্গেট কাস্টমারদের ৮০ ভাগই হয়তো আপনার মার্কেটিং কর্মকান্ডের প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দিবে না। বাকি ২০ ভাগ যারা সাড়া দান করবে তাদের মধ্যে হয়তো ৫ ভাগ আপনার কনভার্সন রেট। মানে যারা আপনার প্রোডাক্ট কিনবে বা সেবা গ্রহণ করবে অথবা উদ্দেশ্য পূরণ করবে।

৬. মার্কেট সম্পর্কে জানতে এবং আপনার কম্পেটিটর সম্পর্কে জানতে আরো অধিক সময় ব্যায় করুন। অডিয়েন্স বা গ্রাহক আপনার সাথে কিভাবে যুক্ত হচ্ছে, কতটুকু সময় ব্যয় করছে, কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিচ্ছে  - এ দিকগুলো সম্পর্কে ভালো গুরুত্বদিন এবং অ্যনালাইসিস করতে চেষ্টা করুন। তবে এক্ষেত্রে আপনার উদ্দেশ্যে হওয়া উচিত স্ট্র্যাটেজিক কোনে সিদ্ধান্তে পৌঁছা।

Post a Comment

Previous Post Next Post